রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় প্রায় শোয়া দু'কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তার সংস্কার কাজে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন হবার মাত্র পাঁচদিনের মাথায় উঠে যেতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার তিওড়কুড়ী- পাঁচবাড়ি হয়ে দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যন্ত ৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা রাস্তার কার্পেটিং কাজ গত ৫ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স ২ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকারও বেশি ব্যয়ে রাস্তার কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিন, ইট ও বালি ব্যবহার এবং পরিষ্কার না করেই কার্পেটিং করার কারণে অল্প দিনেই কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,সহজেই পিচের স্তর উঠে আসছে। পথচারী প্রফেসর ইয়াসিন আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তায় ঠিকমতো পিচ দেয়নি। এক বছরও টিকবে না এই রাস্তা। এখন যদি বৃষ্টি হয়, পুরো রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। ভ্যানচালক আবুল কালাম বলেন, “সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে, অথচ ঠিকাদাররা দায়সারা কাজ করেছে। কয়েকদিন না যেতেই সব উঠে যাচ্ছে। এর চেয়ে আগের রাস্তা ভালো ছিলো।
স্থানীয় বাসিন্দা আঞ্জুয়ারা বেগমের অভিযোগ, “পা দিয়ে ঘষলেই পাথর উঠে যায়। পিচ ঢালাইয়ের সময় রোলার দিয়েও ঠিকমতো চাপ দেওয়া হয়নি।”
দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার বলেন, “ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেছে। উপজেলা থেকে কেউ কাজ তদারকি করেনি। ফলে ঠিকাদার ইচ্ছেমতো দায়সারা কাজ করে চলে গেছে।
স্থানীয় একজন ঠিকাদার জানান, পাকা সড়কের পিচ সহজে উঠে আসার কারণ হলো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও সঠিক অনুপাতে পাথর, বালি ও বিটুমিন না মেশানো। এতে রাস্তার উপরের স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে ও স্থায়িত্ব কমে যায়। স্থানীয় সচেতন মহল, এঘটনায় সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
অন্যদিকে মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের প্রতিনিধি অসিম হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাশুক-ই মোহাম্মদ বলেন, “নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। ল্যাবে পরীক্ষা করে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে রাজশাহী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে রাস্তা পুননির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে, উপজেলার তিওড়কুড়ী- পাঁচবাড়ি হয়ে দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যন্ত ৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা রাস্তার কার্পেটিং কাজ গত ৫ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স ২ কোটি ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকারও বেশি ব্যয়ে রাস্তার কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিন, ইট ও বালি ব্যবহার এবং পরিষ্কার না করেই কার্পেটিং করার কারণে অল্প দিনেই কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,সহজেই পিচের স্তর উঠে আসছে। পথচারী প্রফেসর ইয়াসিন আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তায় ঠিকমতো পিচ দেয়নি। এক বছরও টিকবে না এই রাস্তা। এখন যদি বৃষ্টি হয়, পুরো রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। ভ্যানচালক আবুল কালাম বলেন, “সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে, অথচ ঠিকাদাররা দায়সারা কাজ করেছে। কয়েকদিন না যেতেই সব উঠে যাচ্ছে। এর চেয়ে আগের রাস্তা ভালো ছিলো।
স্থানীয় বাসিন্দা আঞ্জুয়ারা বেগমের অভিযোগ, “পা দিয়ে ঘষলেই পাথর উঠে যায়। পিচ ঢালাইয়ের সময় রোলার দিয়েও ঠিকমতো চাপ দেওয়া হয়নি।”
দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার বলেন, “ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেছে। উপজেলা থেকে কেউ কাজ তদারকি করেনি। ফলে ঠিকাদার ইচ্ছেমতো দায়সারা কাজ করে চলে গেছে।
স্থানীয় একজন ঠিকাদার জানান, পাকা সড়কের পিচ সহজে উঠে আসার কারণ হলো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও সঠিক অনুপাতে পাথর, বালি ও বিটুমিন না মেশানো। এতে রাস্তার উপরের স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে ও স্থায়িত্ব কমে যায়। স্থানীয় সচেতন মহল, এঘটনায় সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
অন্যদিকে মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের প্রতিনিধি অসিম হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাশুক-ই মোহাম্মদ বলেন, “নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। ল্যাবে পরীক্ষা করে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে রাজশাহী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে রাস্তা পুননির্মাণ করা হবে।